বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অনাবাদী ও পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ধুদ্ধকরণ সমাবেশ করেছে এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি)।
শরীয়তপুর জেলার শৌলপাড়ার ইউনিয়নের চর গয়ঘরে এসডিএস এর আয়োজনে কৃষক উদ্ধুদ্ধকরণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব নুরুজ্জামান খাঁন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শরীয়তপুর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ মতলুবর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) জনাব বিএম কামরুল হাসান।
এসডিএস’র কৃষি কর্মকর্তা ও নিরাপদ সবজি চাষ উপ-প্রকল্পের ভিসিএফ মোঃ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসডিএস’র কৃষি কর্মকর্তা ইকোলজিক্যাল ফার্মিং উপ-প্রকল্পের ভিসিএফ শরিফুল আলম মনি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
সমাবেশে এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) জনাব বিএম কামরুল হাসান বলেন, খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ন থাকতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত অনাবাদী ও পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসডিএস কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই সমাবেশে। এতে আপনারা যারা উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলস্বরুপ নানামুখী সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, এখানকার অনেকেই আপনারা কৃষি কাজের সাথে জড়িত। বিশ্বের এই চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শুধু আবাদী জমিতেই নয় আগামী দিনে যাতে খাদ্য সংকটে আমাদের পড়তে না হয় এজন্য বাড়ির আশপাশ থেকে শুরু করে সব জায়গায় ফসল ফলাতে হবে। এজন্য আমাদের সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের এ কাজে যেকোন পরামর্শ বা সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এসডিএস আপনাদের পাশে থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পরিচালক জনাব মতলুবর রহমান বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে, সেই নির্দেশনা দেন। কিন্তু করোনা মহামারি শেষ না হতে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাব বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়তে শুরু করে। ফলে আগামী বিশ্ব কোন দিকে যাবে তা আমরা কেউই বলতে পারছি না। তবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে, নিজেদের খাদ্য ঘাটতি ও পুষ্টি চাহিদা নিজেদেরকে মেটাতে হবে। এজন্য কোন জমিই ফাঁকা রাখা যাবে না।