সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিরা। ছবি : কালের কণ্ঠ
আগামী বছর জলবায়ু আলোচনায় ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়ন কাঠামো (লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফিন্যান্সিং ফ্রেমওয়ার্ক-এলডিএফএফ) তৈরির ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে জোরালো নেতৃত্ব প্রদানে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। জলবায়ু সম্মেলনে স্বল্পোন্নত ও অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ আদায়ে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ এই জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেছেন।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কপ-২৭ ফলাফল এবং বাংলাদেশে করণীয় : ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের পরবর্তী আলোচনায় বাংলাদেশকে অবশ্যই নেতৃত্বে থাকতে হবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাওসেড, কানসা-বিডি, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিপিডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর পার্টিসেপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), ইক্যুইটিবিডি এবং লিডার্স যৌথভাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডির মো. শামসুদ্দোহা, কানসা-বিডির রাবেয়া বেগম ও ইক্যুইটিবিডির আমিনুল হক।
মূল প্রবন্ধে আমিনুল হক বলেন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফিন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক (এলডিএফএফ) ঘোষণা কপ-২৭-এর একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই, যতক্ষণ না এটিকে একটি দারিদ্র্যবান্ধব এবং ন্যায্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। ’
তিনি সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে স্বল্পোন্নত দেশ ও দ্বীপদেশগুলোর কথা উল্লেখ না করায় ধনী দেশগুলো এবং কপ সভাপতির সমালোচনা করেন। কারণ ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নে এই দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরো বলা হয়, কার্যকর এলডিএফএফ প্রতিষ্ঠিত করতে আসন্ন সম্মেলনে ও আলোচনায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অবস্থান নির্ধারণে ও তা আদায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে। এলডিএফএফের কাঠামো প্রণয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলোর ঐতিহাসিকভাবে দায়ের ব্যাপারটি বিবেচনা করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে জাতীয় পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন প্রণয়নে ধনী দেশগুলোকে বাংলাদেশের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, অতিবিপদাপন্ন দেশগুলোর কথা তুলে ধরতে হবে। সরকার এবং নাগরিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের কণ্ঠস্বর শক্তিশালী করবে। পরবর্তী কপে স্বল্পোন্নত, অতিবিপদাপন্ন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন তারা।
News Link:kalerkantho.com