Dec 5, 2022 | News Release
এনডিটিভি ডেস্কঃ আগামী বছর জলবায়ু আলোচনায় ক্ষয়-ক্ষতি অর্থায়ন কাঠামো (লস এন্ড ড্যামেজ ফিন্যান্সিং ফ্রেমওয়ার্ক-এলডিএফএফ) তৈরির ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে জোরালো নেতৃত্ব প্রদানে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুপারিশ করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
জলবায়ু সম্মেলনে স্বল্পোন্নত ও অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ আদায়ে বাংলাদেশ তাঁর অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব দিয়ে এই জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে বলে তাঁরা অভিমত প্রকাশ করেন।
অ্যাওসেড, কানসা-বিডি, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিপিডি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর পার্টিসেপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), ইক্যুইডিবিডি এবং লিডারস যৌথভাবে কপ-২৭ ফলাফল এবং বাংলাদেশে করণীয়: ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের পরবর্তী আলোচনায় বাংলাদেশকে অবশ্যই নেতৃত্বে থাকতে হবে’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চাললনায় সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি মিশরে অনুষ্ঠিত কপ ২৭ এ অংশগ্রহণকারী অনেকেই বক্তৃতা করেন। অন্যান্যের মধ্যে এতে আরও বক্তৃতা করেন, সিএসআরএল’র জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডি’র মো. শামসুদ্দোহা, এবং কানসা -বিডি’র রাবেয়া বেগম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি’র আমিনুল হক।
আমিনুল হক উল্লেখ করেন, লস এন্ড ড্যামেজ ফিন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক (এলডিএফএফ) ঘোষণা কপ-২৭ এর একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই, যতক্ষণ না এটিকে একটি দারিদ্র বান্ধব এবং ন্যায্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা না যায়। তিনি সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে স্বল্পোন্নত দেশ ও দ্বীপদেশগুলোর কথা উল্লেখ না করার ধনী দেশগুলো এবং কপ সভাপতির সমালোচনা করেন, কারণ ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের বিষয়ে এই দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।
তিনি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন, (১) কার্যকর এলডিএফএফ প্রতিষ্ঠিত করতে আসন্ন সম্মেলনে ও আলোচনায় স্বল্পোন্নত দেশগুলির অবস্থান নির্ধারণে ও তা আদায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করতে হবে, (২) এলডিএফএফ এর কাঠামো প্রণয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলোর ঐতিহাসিকভাবে দায়ের ব্যাপারটি বিবেচনা করতে হবে, (৩) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরণের মাত্রা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে জাতীয় পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন প্রণয়নে ধনী দেশগুলোকে বাংলাদেশের চাপ প্রয়োগ করতে হবে, (৪) ঘবি ঈড়ষষবপঃরাব ্ ছঁধহঃরভরবফ প্রক্রিয়ার এডহক কমিটিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, এটি সম্ভব হলে দারিদ্র-বান্ধব জলবায়ু অর্থায়ন সম্ভব হবে।
শামসুদ্দোহা উল্লেখ করেন, ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ক অর্থায়েনর ঘোষণাটি কিছুটা জটিল এবং এর সঙ্গে জলবায়ু প্রশমনের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার উপনর জোর দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হলো এলডিএফএফ-এর আওতায় সহায়তা পেতে হলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ভবিষ্যতে তাদের নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে হবে। এটি খুবই বিতর্কিত এবং , বিপদাপন্নতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা, এলডিএফএফ-এ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া নিয়ে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দেখা দিতে পারে। ধনী দেশগুলি বিভিন্ন ধরনের শর্ত আরোপ করে এই প্রক্রিয়াটিকে বিলম্বিত করে ফেলতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
জিয়াউল হক মুক্তা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের হার ১.৫ ডিগ্রিনর মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনে অর্থপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কপ ২৭-এর ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর বর্তমান আলোচনা বিজ্ঞানভিত্তিক দাবির চেয়ে ৪০ বছর পিছিয়ে। ১.৫-ডিগ্রি লক্ষ্য অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্ত্বেও বড় দূষণকারীগুলোর এই বিষয়ে তেমন কোনও উদ্যোগই নয়। তথাকথিত ‘ফেজ ডাউন’ ধারণার সুযোগে অনেক ইউরোপীয় দেশ তাদের কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি পুনরায় কার্বন নিঃসরণ শুরু করেছে। এই প্রবণতা অগ্রহণযোগ্য এবং টঘঋঈঈঈ থেকে চাপ সৃষ্টি করা বন্ধ করতে হবে।
রাবেয়া বেগম জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর কথা তুলে ধরতে হবে, সরকার এবং নাগরিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে তা আমাদের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করতে পারে।
রেজাউল করিম চৌধুরী পরবর্তী কপে স্বল্পোন্নত, অতি বিপদাপন্ন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন।
News Link
Dec 5, 2022 | News Release
ঢাকা: কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে বিপদাপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অর্থায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে এ জন্য একটি নীতি কাঠামো ও বাস্তবায়ন কৌশল প্রণয়ন করা হবে।
এ বিষয়ে আগামী বছর জলবায়ু সম্মেলনে স্বল্পোন্নত ও বিপদাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ‘কপ-২৭ ফলাফল এবং বাংলাদেশের করণীয়: ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের পরবর্তী আলোচনায় বাংলাদেশকে অবশ্যই নেতৃত্বে থাকতে হবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাওসেড, কানসা-বিডি, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিপিডি), কোস্ট ফাউন্ডেশনর, সেন্টার ফর পার্টিসেপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), ইক্যুইডিবিডি এবং লিডারস।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এবারের কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে অর্জন ছিল বিপদাপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি আলোচ্যসূচি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সম্মেলন শেষে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করা। কিছু ধনী দেশ এর বিরোধিতা করলেও বিপদাপন্ন দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অর্থায়নের ঘোষণা করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিপদাপন্ন দেশগুলোর অর্থায়নের জন্য আগামী ২০২৪ সাল অর্থাৎ কপ-২৭ এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি নীতি কাঠামো ও বাস্তবায়ন কৌশল প্রণয়ন করা হবে। এই বাস্তবায়ন কৌশল প্রণয়ন বা খসড়া প্রস্তুত করার জন্য একটি কমিটি গঠনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। ২৪ সদস্যের এই কমিটিতে ১০ জন থাকবে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর প্রতিনিধি এবং ১৪ জন থাকবে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধি। এই ১৪ জনের মধ্যে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দুজন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে দুজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু অতিবিপদাপন্ন এবং নিম্নআয়সম্পন্ন দেশের ক্যাটাগরিতে রয়েছে, পাশাপাশি বাংলাদেশ এমভিসি এবং ভি-২০ দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে সেহেতু আমরা অবশ্যই এই কমিটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জোর দাবি এবং আশা করতে পারি। আমরা মনে করি সরকার বিষয়টিকে অতি গুরুত্ব দেবে এবং যথাসময়ের মধ্যে প্রতিনিধি নিশ্চিত করবে।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অতি বিপদাপন্ন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি’র পরিচালক আমিনুল হক। তিনি বলেন, লস অ্যাড ড্যামেজ ফিন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক (এলডিএফএফ) ঘোষণা কপ-২৭ এর একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এটি দারিদ্র্যবান্ধব এবং ন্যায্যতাভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা না যায়, ততক্ষণ এটি নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আত্মতৃপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
সিপিআরডি’র চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ক অর্থায়নের ঘোষণাটি কিছুটা জটিল এবং এর সঙ্গে জলবায়ু প্রশমনের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হলো এলডিএফএফ-এর আওতায় সহায়তা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ভবিষ্যতে তাদের নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে হবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের হার ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনে অর্থপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে কপ ২৭-এর ব্যর্থতার সমালোচনা করেন সিএসআরএল এর সেক্রেটারি জিয়াউল হক মুক্তা। তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর বর্তমান আলোচনা বিজ্ঞানভিত্তিক দাবির চেয়ে ৪০ বছর পিছিয়ে। ১.৫ ডিগ্রি লক্ষ্য অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বড় দূষণকারী দেশগুলোর এই বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগই নয়।
কনসা-বিডি’র চেয়ার রাবেয়া বেগম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও উদ্যোগ নিতে হবে। অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোর কথা তুলে ধরতে হবে, সরকার এবং নাগরিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে তা আমাদের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
এসসি/এমজেএফ
News Link
Dec 1, 2022 | Recent Activities
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অনাবাদী ও পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ধুদ্ধকরণ সমাবেশ করেছে এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি)।
শরীয়তপুর জেলার শৌলপাড়ার ইউনিয়নের চর গয়ঘরে এসডিএস এর আয়োজনে কৃষক উদ্ধুদ্ধকরণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব নুরুজ্জামান খাঁন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শরীয়তপুর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মোঃ মতলুবর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) জনাব বিএম কামরুল হাসান।
এসডিএস’র কৃষি কর্মকর্তা ও নিরাপদ সবজি চাষ উপ-প্রকল্পের ভিসিএফ মোঃ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসডিএস’র কৃষি কর্মকর্তা ইকোলজিক্যাল ফার্মিং উপ-প্রকল্পের ভিসিএফ শরিফুল আলম মনি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
সমাবেশে এসডিএস’র পরিচালক (এমএফ) জনাব বিএম কামরুল হাসান বলেন, খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ন থাকতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত অনাবাদী ও পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসডিএস কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই সমাবেশে। এতে আপনারা যারা উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলস্বরুপ নানামুখী সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, এখানকার অনেকেই আপনারা কৃষি কাজের সাথে জড়িত। বিশ্বের এই চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শুধু আবাদী জমিতেই নয় আগামী দিনে যাতে খাদ্য সংকটে আমাদের পড়তে না হয় এজন্য বাড়ির আশপাশ থেকে শুরু করে সব জায়গায় ফসল ফলাতে হবে। এজন্য আমাদের সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের এ কাজে যেকোন পরামর্শ বা সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এসডিএস আপনাদের পাশে থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পরিচালক জনাব মতলুবর রহমান বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে, সেই নির্দেশনা দেন। কিন্তু করোনা মহামারি শেষ না হতে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাব বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়তে শুরু করে। ফলে আগামী বিশ্ব কোন দিকে যাবে তা আমরা কেউই বলতে পারছি না। তবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে, নিজেদের খাদ্য ঘাটতি ও পুষ্টি চাহিদা নিজেদেরকে মেটাতে হবে। এজন্য কোন জমিই ফাঁকা রাখা যাবে না।
Dec 1, 2022 | Recent Activities
বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্রচারাভিযান পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য
”সবার মাঝে ঐক্য গড়ি
নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এসডিএস বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাজিরা ও শরীয়তপুর সদর উপজেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে কিশোর-কিশোরীদের সমন্বয়ে ভ্যান ক্যাম্পেইন হচ্ছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এই ভ্যান ক্যাম্পেইন ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। একই সাথে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্যনার ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া ও ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস, ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস, ৫ ডিসেম্বর স্বেচ্ছাসেবী দিবস, ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস ও ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান কর্মসূচি শেষ হবে।
Nov 13, 2022 | News Release
On November 12’ 2022, the ongoing Cop 27, Global Climate Conference in Sharm El Sheikh-Egypt, Civil Society leaders from MVCs (Most Vulnerable Countries) have meet a press conference in CoP 27 conference venue and demanded for a real NDC (National Determined Contribution) target from big carbon emitters with appropriate actions in achieving the 1.5-degree temperature goal and saving the earth. They also condemned the current false solution of “Net Zero target by 2050” and urged to immediate stop of this discourse.
The Press conference titled “LDC’s & MVC Peoples’ expectations and CoP 27” held at the meeting room of CoP 27 climate conference center, Sharm El Sheikh where representatives of different CSO leader Md. Ziaul Hoque Mukta CSRL (Center for Sustainable Rural Livelihood), Md. Shamsuddoha (Centre for Participatory Research & Development), Mr. Sanjay Vashist (Climate Action Network-South Asia-India), Mrs. Rabeya Begum (Chair-CANSA-BD), Mr. Atle Solberg of PDD (Platform of Disaster Displacement-Switzerland), Md Mohan Kumar-Leaders, Bangladesh have participated and spoke. The keynote on civil society expectation is presented by Aminul Hoque (EquityBD) from Bangladesh.
Presenting the keynote, Aminul Hoque said global leaders continue failed their promise and come with new idea, vague solution and also create obstacles to dilute MVCs priorities and demands. He concerned that CoP 27 negotiation may distracted by some developed country and their allies. He put some key demands in favor of civil society, those are (i) Developed countries must change their theory of “Net Zero Target”, instead they will revise again the own country NDC before 2023 global stoctake to achieve “Zero Carbon emission” target by 2050 (ii) A political declaration to be made by big emitters on banning the coal-fired power plants now, and phase out of all other fossil-fuels by 2040, (iii) Developed countries have to fulfill the delivery gap of their committed USD 100 billion annually that by now culminated to USD 600 billion to be delivered by 2025 and (iv) MVCs should start their work for a separate international mechanism to manage climate displacements in existing failure of WIM (Warsaw International Mechanism) and TFD (Task Force on Displacement).
Md. Shamsuddoha said that COP 27 must set a mandatory timeline for submitting long-term mitigation strategies by all the Parties. It is important to make them accountable towards a low emission pathway and a net-zero economy by 2050. He also demands an ambitious NDCs coherent to the 1.5-degrees Celsius target and an option to update and scale-up targets biennially to comply with the mitigation requirements.
Sanjay Vashist demand to phase out of all fossil fuel activities as science advised, because the NDCs submitted by the 193 Parties including 24 updated or new NDCs submitted after Glasgow CoP, will increase of emissions by 10.6 percent by 2030 and tracked to 2.4 degree by the end century. He demands to all countries must follow the UNFCCC road map implementing renewable energy by 2050.
Atle Solberg expressed his deep concern on displacement that’s happening in MVCs due to climate change impacts and becoming unable to manage by adaptation. He expects WIM (Warsaw International Mechanism od Loss & Damage) become an effective mechanism and duly operational with separate mandate of action plan under the Convention of UNFCC and Paris Agreement. Mr. Ziaul Hoque Muka supports to start for a separate mechanism for displacement due to existing inaction of WIM and TFD.
Mrs Rabeya Begum said the though the CoP 27 has a good start with adopting Loss & Damage Financing [LFD] agenda, but we are always worried about the obscure role of US and their allies taking firm stand against to the MVCs priority agendas. We hope that they will be positive and support for a truly ambitious decision-making process for frontline climate vulnerable communities viewing justice and equity.
Mr. Mohan Kumar said that developed countries are showing their ill attitude in financing to the adaptation which is very less and around 20% in against the current fund mobilization. The discourse of new collective climate finance goal will be a frame of “Climate Justice Perspective” and must explore a new % of GNI [Gross National Income] targets which will be above the existing ODA [Official Development Assistance].
Link:
Rich countries to fulfil the financing gap to climate action for MVCs and LDCs